কুমিল্লার লাকসামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে আটক করে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ছবি, ভিডিও ধারণ এবং মামলা করলে ভিডিও ভাইরাল করাসহ ছাত্রী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়েছে ধর্ষকরা।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী খিলা আজিজ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২৯ জানুয়ারি রোববার রাতে লাকসাম থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি সোমবার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন— লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আমানত উল্লাহ ছেলে রায়হান (১৯), মামিশ্বর গ্রামের রমিজ খানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম আমিন (১৯) ও একই ইউনিয়নের ষোলদানা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩২)।
সোমবার সকালে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করত একই ইউনিয়নের রায়হান, রাকিবুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন। গত ২০২২ সালে ২৬ ডিসেম্বর নিজ বাড়ির পাশের ঘুরতে যায় ওই ছাত্রী। ওই দিন বিকালে ওই বাড়িতে থাকা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা করার জন্য সাত্তার মিয়ার বাড়িতে লুকাইতে যায়। এ সময় রাকিবুল ও সাদ্দাম হোসেনের সহযোগিতায় রায়হান ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর রায়হান ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বলে রাকিব ও সাদ্দামের মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, এ ঘটনা নিয়ে কাউকে বললে ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে তাকে ভয় দেখায়। ওই ছাত্রী কান্নায় ভেঙে পড়ে তার বাড়িতে চলে আসে। বিষয়টি সে তার মাকে জানালে ধর্ষণকারীরা আরও ক্ষেপে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় জানাজানি হলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২৯ জানুয়ারি লাকসাম থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
লাকসাম থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভুঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, এ ঘটনায় সোমবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করেছে।